উদ্ভাবনী উদ্যোগ (Innovation): ০১। বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণ।
To find out the latest Innovation Activities Pls click below
https://www.youtube.com/@bdaquaculture
সংস্থার নাম |
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। |
উদ্ভাবনের শিরোনাম |
বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণ। |
কিভাবে যাত্রা শুরু/পটভুমি |
বাংলাদেশে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, কার্পজাতীয় মাছ, পাবদা, শিং-মাগুরসহ এজাতীয় মাছের চাষ প্রযুক্তি বর্তমানে সহজলভ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে মাছের মোট উৎপাদনে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বাগদা চিংড়ির উৎপাদনে সে তুলনায় আমরা তিমিরেই রয়ে গেছি। কালিগঞ্জ উপজেলাটিতে প্রায় ১৫০০০ হেক্টর এলাকায় বাগদা চিংড়ির চাষ বর্তমান রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান জলসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবং চাষীদের মধ্যে মাছ/চিংড়ি বা কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সহজলভ্য করার জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণ সময়ের দাবী বলে মনে হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর উন্নত প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে মাছ এবং চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি করে জনগনের পুষ্টি চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মৎস্য/চিংড়ি চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে মৎস্য/চিংড়ি চাষ বিষয়ক আধুনিক এবং যুযোপযোগী প্রযুক্তি সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাঠ পর্যায়ে জনবলের স্বল্পতা থাকায় মৎস্য/চিংড়ি চাষ বিষয়ক আধুনিক এবং লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং সহজলভ্য করা অত্যন্ত দূরহ। বর্তমান ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোহাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে মাছ/চিংড়ি বা কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তিকে জনগনের দোরগোড়ায় সহজে স্বল্প সময়ে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। |
এ উদ্যোগে কী কী কল্যাণ বয়ে এনেছে |
বর্তমান সহজলভ্য ইন্টারনেট প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মাছ/চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সহজে চাষীদের মধ্যে বিস্তার ঘটানো যাবে, চাষীরা বিদ্যমান জলজসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন, মাছ/চিংড়ি বা কাঁকড়া চাষীরা সচেতন হবেন এবং গুনগতমান সম্পন্ন মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, ফলে রপ্তানীমুখী এ শিল্পের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চাষীরা শক্তিশালী হবেন। |
অংশীজনের প্রতিক্রিয়া/অনুভুতি |
বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণের মাধ্যমে বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষীরা ঘরে বসে সহজে এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে, বুঝতে ও ব্যবহার করতে পারছেন।
চাষীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ করতে পারছেন এবং কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে নিজ নিজ জিজ্ঞাসা সহজবোধ্য করছেন। |
টিসিভি |
ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে উপজেলা হতে দূরবর্তী এলাকার গলদা, বাগদা বা কাঁকড়া চাষীরা উপজেলাতে না এসেই তাদের নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারছেন। তথ্য-উপাত্ত হাতের মুঠোয় থাকায় একজন চাষী সহজেই প্রযুক্তি জ্ঞানে সম্মৃদ্ধ হতে পারছেন এতে তাঁর তথ্য বিভ্রাট যেমন এড়ানো সম্ভব হচ্ছে, অন্যদিকে সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োগে অর্থের অপচয় রোধ, যাতায়াতসহ নানাবিধ ব্যয় হ্রাসকরণসহ সম্ভব হচ্ছে এবং সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মাছ/চিংড়ি বা কাঁকড়া উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তি সহজলভ্য করায় অফিসে চাষীদের পরিদর্শন কমানো সম্ভব হয়েছে এবং একই সাথে বিভিন্ন স্থানে বা উৎসে চাষীদের বিক্ষিপ্ত যোগাযোগ হ্রাস পেয়েছে। |
উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন টীম |
বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রস্তুতকরণ, মোঃ নাজমুল হুদা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। |
To find out the latest Innovation Activities Pls click below
https://www.youtube.com/@bdaquaculture
সংযুক্তি-০২
উদ্ভাবনী উদ্যোগ (Innovation): ০২। মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রদান।
সংস্থার নাম |
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। |
উদ্ভাবনের শিরোনাম |
মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রদান। |
কিভাবে যাত্রা শুরু/পটভুমি |
বাংলাদেশে তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, কার্পজাতীয় মাছ, পাবদা, শিং-মাগুরসহ এজাতীয় মাছের চাষ প্রযুক্তি বর্তমানে সহজলভ্য ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে মাছের মোট উৎপাদনে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বাগদা চিংড়ির উৎপাদনে সে তুলনায় আমরা তিমিরেই রয়ে গেছি। কালিগঞ্জ উপজেলাটিতে প্রায় ১৫০০০ হেক্টর এলাকায় বাগদা ও গলদা চিংড়ি, কাঁকড়া এবং মাছের চাষ বর্তমান রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান জলসম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এবং চাষীদের মধ্যে মাছ/চিংড়ি বা কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সহজলভ্য করার জন্য প্রশিক্ষণ একটি অন্যতম ও সহাযক কার্যক্রম।
মৎস্য অধিদপ্তর উন্নত প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে মাছ এবং চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি করে জনগনের পুষ্টি চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মৎস্য/চিংড়ি চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ে মৎস্য/চিংড়ি চাষ বিষয়ক আধুনিক এবং যুযোপযোগী প্রযুক্তি সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাঠ পর্যায়ে জনবলের স্বল্পতা থাকায় মৎস্য/চিংড়ি চাষ বিষয়ক আধুনিক এবং লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং সহজলভ্য করা অত্যন্ত দূরহ।
সরকারী ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি বাস্তবায়ন এবং তথ্য-প্রযুক্তি সহজবোধ্য করার জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা দপ্তরে আগত মৎস্য চাষী/উদ্যোক্তা/সুফলভোগী বা অন্যান্য অংশীজনের মধ্যে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করার জন্য অত্র দপ্তরে একটি Smart TV স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিতিদের মধ্যে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সহজবোধ্য হচ্ছে এবং অংশগ্রহনকারীদের পক্ষে মৎস্য চাষ প্রযুক্তির অনেকটা হাতে-কলমে শিক্ষণ সম্পাদন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। |
এ উদ্যোগে কী কী কল্যাণ বয়ে এনেছে |
আগত সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে তাৎক্ষনিকভাবে এবং সহজেই লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী বরাদ্দ ব্যতিরেখে যেকোন সময় প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে একাধিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয়ী করা সম্ভবপর হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ প্রদান বা গ্রহন একটি আনুষ্ঠানিক বিষয়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আগত সেবা গ্রহীতার চাহিদার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করার সুযোগ সুষ্টি হয়েছে, ফলে আনুষ্ঠানিকতার দরকার হচ্ছে না এবং অধিক সংখ্যক চাষীদের সেবা প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। |
অংশীজনের প্রতিক্রিয়া/অনুভুতি |
চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ পাওয়া এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত নিজেদের ত্রুটি সংশোধনের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাগদা, গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের আধুনিক ও লাগসই প্রযুক্তি গ্রহন, বাস্তবায়নের ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধন, প্রায়োগিক বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষণ লাভ করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে মৎস্য/চিংড়ি/কাঁকড়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চিংড়ি চাষ অধ্যুষিত এলাকার চাষীরা ব্যাপকভাবে সচেতন হচ্ছেন।
বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর তাৎক্ষনিক প্রশিক্ষণ গ্রহনের মাধ্যমে বাগদা এবং গলদা চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষীরা এ সংক্রান্ত প্রযুক্তি সম্পর্কে সহজেই জানতে, বুঝতে ও ব্যবহার করতে পারছেন।
চাষীরা তাৎক্ষনিক এবং চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির এ মাধ্যমটি ব্যবহার করে সময় এবং অর্থের অপচয় রোধ করতে পারছেন এবং নিজ নিজ জিজ্ঞাসা সহজবোধ্য করছেন। |
টিসিভি |
সরকারী বরাদ্দ ব্যতিরেখে যেকোন সময় প্রশিক্ষণ গ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে একাধিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয়ী করা সম্ভবপর হচ্ছে।
উপজেলা হতে দূরবর্তী এলাকার গলদা, বাগদা বা কাঁকড়া চাষীরা উপজেলাতে এসেই তার চাহিদামত প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে পারছেন, ফলে তাকে প্রশিক্ষণের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা বা বার বার অত্র দপ্তরে আগমন করার প্রয়োজন পড়ছে না।
তথ্য-উপাত্ত হাতের মুঠোয় থাকায় একজন চাষী সহজেই প্রযুক্তি জ্ঞানে সম্মৃদ্ধ হতে পারছেন এতে তাঁর তথ্য বিভ্রাট যেমন এড়ানো সম্ভব হচ্ছে, অন্যদিকে সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োগে অর্থের অপচয় রোধ, যাতায়াত ব্যয়সহ নানাবিধ ব্যয় হ্রাসকরণ সম্ভব হচ্ছে এবং সঠিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। |
উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন টীম |
মাছ, চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের উপর ডিজিটাল প্রশিক্ষণ প্রদান, মোঃ নাজমুল হুদা, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস